নির্ভরতার স্মৃতি দেশীয় খবর

নির্ভরতার স্মৃতি দেশীয় খবর

নির্ভরতার স্মৃতি দেশীয় খবর, আখতারের ছোট্ট স্মৃতি দেখে বোঝার উপায় নেই যে আপনি আপনার কাঁধে কতটা

ওজন বহন করতে পারেন! সাত বছর ধরে একাই সংসারের বোঝা বহন করছেন তিনি। তার ছোট বোনের

লেখাপড়ার খরচ, তার অসুস্থ মায়ের ষধ, তার পছন্দের কেনাকাটা পূরণ সে তার উপার্জিত অর্থ

দিয়ে তার সব ইচ্ছা পূরণ করে। এতটুকু স্মৃতি বোঝা তুলে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। মানে, ভারোত্তোলন খেলাকে ধন্যবাদ।

স্মৃতি ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে ৫৫ কেজি ওজন শ্রেণীতে স্বর্ণ জিতেছে। শুধু

স্মৃতির স্বর্ণ জেতার মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করা কঠিন। ফুলপতি চাকমা, যিনি ২০১৬ সালে নেপালে সর্বশেষ এসএ গেমসে রৌপ্য

জিতেছিলেন, এবার সোনা জিতেছেন। ভারোত্তোলনে তিনি একটি নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন।

আরও নতুন নিউস পেতে আমাদের সাইট:dailynewjob24.xyz

নির্ভরতার স্মৃতি দেশীয় খবর

ভারোত্তোলন খেলতে স্মৃতি আসার গল্পটি মজার। স্মৃতির বাবা আবদুল মোতালেবের চা-সিগারেটের

দোকান ছিল ঢাকার পল্টনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনের পাশে। স্কুল ছুটির সময় স্মৃতি প্রায়ই তার বাবার

টন্ডোকানায় যেত। কেনাকাটায় বাবাকে সাহায্য করতেন। বিভিন্ন ক্রীড়া কোচ এবং খেলোয়াড়রা বিভিন্ন

সময়ে সেখানে চা খেতে আসত। ভারোত্তোলন কোচ মজিবুর রহমানও সেই দোকানে আসতেন।

একদিন স্মৃতিকে দেখে তিনি মোতালেবকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি তোমার মেয়েকে খেলতে দেবে?” মোতালেব

রাজি হলেন।স্মৃতি ২০১৩ সালে তার প্রথম ভারোত্তোলন খেলা শুরু করেন। খেলার কারণে ২০১৪

সালে সেনাবাহিনীতে চাকরি পান। এরপর স্মৃতিকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।আবদুল মোতালেব চায়ের

দোকান থেকে অল্প আয়ে সংসার চালাতে কঠোর পরিশ্রম করতেন। দুই পুত্র বিবাহিত এবং প্রায় ১০

বছর ধরে একটি পৃথক পরিবার ছিল।

গত বছর স্মৃতির বাবা মারা যান পৃথিবীর পুরো

দায়িত্ব অনেকদিন ধরে স্মৃতির কাঁধে ছিল। বাবা নেই, ভাইয়েরা কোনো দায়িত্ব নেয় না। সত্যিই, পৃথিবীর বোঝা এখন স্মৃতির কাঁধে।আর্থিক সমস্যার কারণে স্মৃতি অষ্টম শ্রেণির পরে স্কুলে যায়নি। আবদুল মোতালেব তার মেয়েকে শিক্ষিত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সামর্থ ছিল না। বাবা খুশি হলেন যখন তার মেয়ে অবশেষে সেনাবাহিনীতে চাকরি পেল। স্মৃতির চেয়ে সুখী আর কেউ ছিল না যখন সে তার প্রথম বেতন তার বাবার হাতে তুলে দিয়েছিল, ‘আমি সেই দিনটি কখনো ভুলব না। আমি আমার প্রথম বেতন পেয়েছিলাম সাড়ে চার হাজার টাকা। আমি সব টাকা এনে বাবাকে দিলাম। দোকানে বসে তিনি সবাইকে বলছিলেন, “আমার মেয়ে উপার্জন করেছে। বাবা আনন্দে কেঁদে ফেললেন। “স্মৃতির দুই বড় ভাই অর্থ উপার্জন করলেও তারা পরিবারের কোন দায়িত্ব নেয়নি। ভাইদের যে দায়িত্ব নেওয়ার কথা ছিল, স্মৃতি সেই দায়িত্ব পালন করল। তিনি বলেন, “আমি দুঃখিত নই যে আমি একটি মেয়ে জন্মেছি।” বাবা আমার সাথে ছেলের মত আচরণ করেছিলেন।

আমি খেলাধুলার স্বার্থে সেনাবাহিনীতে কাজ করছি

এটা অনেক সম্মানের। খুব গর্বিত। আমি আমার পিতামাতার সমস্ত দায়িত্ব নিতে সক্ষম হতে পছন্দ করি। ‘খেলার কারণে মিশর, থাইল্যান্ড এবং নেপাল ফিরে এসেছে। তিনি মিশরে ইসলামী সংহতি চ্যাম্পিয়নশিপ, থাইল্যান্ডে বিশ্ব ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপ এবং নেপালে এসএ গেমসে খেলেছেন।এসএ গেমসে স্বর্ণপদক জয়ী মাবিয়া আক্তার দরিদ্র পরিবার থেকে এসে তার জীবন বদলে দিয়েছেন। স্মৃতি দেশের সেরা ভারোত্তোলক মাবিয়াকে তার রোল মডেল হিসেবে বিবেচনা করে। “আমি মাবিয়া অপুর মতো খেলতে চাই। আমি ২০২৪ অলিম্পিকের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে চাই। কিন্তু সবার আগে আপনাকে এসএ গেমসে সোনা জিততে হবে। ‘মাঝেমধ্যে অবশ্য মা স্মৃতির বিয়ের প্রসঙ্গ তুললেন। কিন্তু আপাতত খেলা নিয়ে সব চিন্তা স্মৃতি নিয়েই, ‘আমি এই মুহূর্তে বিয়ে নিয়ে ভাবছি না। আমার সমস্ত মনোযোগ ভারোত্তোলনের দিকে। ‘তিনি ইতিমধ্যে বিশ্বের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ভারোত্তোলনের বিশ্ব মঞ্চে একদিন তিনি লাল-সবুজ ওজন কাঁধে বহন করতে চান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *